Before the Coffee Gets Cold book by Toshikazu Kawaguchi pdf download from Recipye.
বিফোর দ্য কফি গেটস্ কোল্ড pdf download

বইঃ | বিফোর দ্য কফি গেটস্ কোল্ড |
লেখকঃ | তোশিকাযু কাওয়াগুচি |
অনুবাদকঃ | সালমান হক |
প্রকাশনীঃ | আফসার ব্রাদার্স |
ফরম্যাটঃ | পিডিএফ ফাইল |
ক্যাটাগরিঃ | অনুবাদ সায়েন্স ফিকশন |
বিফোর দ্য কফি গেটস্ কোল্ড বই Pdf Download
ক্যাফের বিশেষ সিটটায় একটা মেয়ে চুপচাপ বসে আছে । চেহারা দেখে মনে হচ্ছে হাইস্কুলের ছাত্রী হবে । আয়ত চোখ জোড়ায় মিষ্টি চাহনি । একটা ঘিয়া টার্টলনেক , টারটান – চেক মিনিস্কার্ট , কালো টাইটস আর বাদামি বুট তার পরনে । ডাফেল কোটটা চেয়ার থেকে ঝুলছে । পোশাকগুলো তুলনামূলক বয়স্কদের জন্য হলেও মেয়েটার আচরণে একটা ছেলেমানুষি ভাব আছে । ববকাট চুলে বেশ মানিয়ে গেছে তাকে । চেহারায় মেইক – আপের বালাই নেই , কিন্তু কমনীয় মুখটার কারণে চোখ ফিরিয়ে নিতে ইচ্ছা করে না । লম্বা চোখের পাপড়িগুলো সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণে । ভবিষ্যৎ থেকে এসেছে সে । কিন্তু ক্যাফেটার বিশেষত্ব না জানা থাকলে কেউ ধরতেও পারবে না সত্যটা । তবে আগস্ট মাসে সচরাচর কেউ এমন পোশাক পড়ে না ।
মেয়েটা কার সাথে দেখা করতে এসেছে সেটা অবশ্য একটা রহস্য । এই মুহূর্তে গোটা ক্যাফেতে নাগারে তোকিতা বাদে আর কেউ নেই । শেফ ইউনিফর্ম পরে কাউন্টারের পেছনে দাঁড়িয়ে আছে বিশালদেহী লোকটা । কিন্তু অনেক ভেবেও মেয়েটার আগমনের হেতু বের করতে পারেনি সে । বেশ কয়েকবার অবশ্য নাগারের দিকে তাকিয়েছে মেয়েটা । কিন্তু সেই দৃষ্টিতে বিশেষ কোনো কিছু নেই । এত বড় একটা মানুষকে পাত্তাই দিচ্ছে না । ক্যাফেতে এই মুহূর্তে আর কেউ নেই । অগত্যা বুকের ওপরে হাত ভাঁজ করে দাঁড়িয়ে মেয়েটার ওপরে নজর রাখছে ক্যাফে মালিক । নাগারে আক্ষরিক অর্থেই বেশ বড়োসড়ো মানুষ ।
অনুবাদ সায়েন্স ফিকশন বই pdf download
নির্জন কোনো স্থানে মেয়েরা সচরাচর তাকে দেখলে কিছুটা ভয়ই পায় । কিন্তু এই মেয়েটার কোনো বিকার নেই । নাগারের সাথে কোনো প্রকার আলাপে জড়ায়নি সে । কিছুক্ষণ পরপর কেবল ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছে , যেন কোথাও যাবার তাড়া আছে । খানিক বাদে একটা পরিচিত গন্ধ নাকে এলো নাগারের । টোস্টারের পরিচিত ‘ চিং ‘ শব্দটাও শুনতে পেলো ঠিক সেই সময় । খাবার প্রায় তৈরি হয়ে গেছে । রান্নাঘরে গিয়ে দ্রুত কাজে লেগে পড়লো । মেয়েটার অবশ্য সেদিকে খেয়াল নেই । কফির কাপে চুমুক দিয়ে একবার আলতো করে মাথা নাড়লো । যেন বুঝতে পেরেছে যে হাতে আরো বেশ কিছুক্ষণ সময় আছে ।
রান্নাঘর থেকে ট্রে হাতে বেরিয়ে এলো নাগারে । টোস্ট , মাখন , সালাদ আর দই সাজানো ওখানে । মাখনটা নাগারে নিজেই বানিয়েছে । এই জিনিসটা বরাবরই খুব ভালো হয় তার । বার হোস্টেস হিরাই তো একটা প্লাস্টিকের কন্টেইনারে করে এখান থেকে মাখন বাসায় নিয়ে যায় , এত পছন্দ তার । আগত অতিথিদের নিজের বানানো মাখন তৃপ্তি নিয়ে খেতে দেখলে মনে মনে ভীষণ খুশি হয় নাগারে । সমস্যাটা হচ্ছে , মাখন বানানোর জন্য সবচেয়ে দামি সব উপকরণ ব্যবহার করে সে । কিন্তু অতিথিদের কাছ থেকে মাখনের কোনো দাম রাখা হয় না । মূল খাবারের সাথে আনুষঙ্গিক যা দেওয়া হয় , সেসবের দাম না রাখার ব্যাপারে বরাবরই বদ্ধপরিকর নাগারে । কিন্তু অর্থনৈতিক দিক দিয়ে চিন্তা করলে ব্যাপারটা ক্যাফের জন্য মোটেও সুবিধাজনক নয় ।